নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার রাস্তায় যানজট। কেউ শুনছেন না কারও কথা। এমন সময় সড়কে নামলেন এক ব্যক্তি। নেমেই যানজট নিরসনের চেষ্টা করছেন। মাঝে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও এক লেনে গাড়ি চলতে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। সেই নির্দেশনা মেনে গাড়ি চলাচল শুরু হলে কমতে থাকে যানজট। নির্দেশনা দেওয়া ব্যক্তি স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে মান্নান নগর চৌরাস্তায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার রাস্তার যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এমপি একরাম। সড়কে এমপির এমন উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে।

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা থেকে ফেরার পথে মান্নান নগর চৌরাস্তায় আসলে দীর্ঘ এক কিলোমিটার যানজট দেখতে পান। এসময় অ্যাম্বুল্যান্সসহ বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় নেমে গিয়ে ট্রাফিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। মাঝে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও এক লেনে গাড়ি চলতে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মেনে গাড়ি চলাচল শুরু হলে প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় কমতে থাকে যানজট।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাহি হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রাফিক না থাকায় কোনো নিয়ম মানছিলেন না চালকরা। এতে দীর্ঘ এক কিলোমিটার যানজট লেগে যায়। এমপি মহোদয় ট্রাফিকের ভূমিকা অবতীর্ণ হয়ে যানজট নিরসন করেন। সবাইকে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে সহযোগিতা করেন। 

যানজট নিরসনে এমপির সড়কে নামা ইতিবাচক বলে মনে করেন নোয়াখালীর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য এমপি মহোদয়ের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটা আমাদের জন্য উৎসাহ। তিনি এভাবে মাঠে নেমে  ট্রাফিকের ভূমিকা রাখায় ঘরে ফেরা মানুষ গুলো দ্রুত ফিরতে পেরেছে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পক্ষ থেকে উনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সুবর্ণচর উপজেলা থেকে ফেরার পথে এক কিলোমিটার যানজট পাই। চালকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সড়কে দাঁড়িয়ে যাই। দীর্ঘ আধাঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। আবার একটা মাইক্রোবাসে কিশোর গ্যাং সদস্যরা হামলা চালায়। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টা জানাই। তবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যানবাহনের চালকদের সচেতন করলে এবং অটোরিকশা এক লাইনে চললে যানজট হবে না।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সিরাজ উদ্ দৌলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ হওয়ায় সড়কে মানুষের চাপ রয়েছে। এমপি মহোদয় যে ভূমিকা রাখলেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি আগামীতে এমন যানজট সৃষ্টি হবে না। আমরা ট্রাফিক বিভাগ তৎপর থাকবো। 

হাসিব আল আমিন/এমএএস