নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘুমন্ত কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের মামলায় মো. নাহিদ হোসেনকে (২৩) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে একইদিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের আজাদ নগর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১১)।

গ্রেপ্তার নাহিদ হোসেন হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর গ্রামের নুরু ব্যাপারী বাড়ির মো. বেলালের ছেলে।

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ সূত্রে জানা যায়, আসামি নাহিদ হোসেন ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ৭ এপ্রিল বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগীর মা প্রতিবেশীর ঘরে যান। এসময় কিশোরী তার নিজ ঘরের কক্ষে কাঠের চৌকির উপর ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। কাজ শেষে মা নিজ ঘরে এসে ভুক্তভোগীর কান্না দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, আনুমানিক ৪টার দিকে ঘরের দরজা খোলা থাকায় নাহিদ ঘরে প্রবেশ করে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ৯ এপ্রিল হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। তারপর থেকে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল ধর্ষণের মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আজ ১২ এপ্রিল দুপুর ২ টার সময় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামি ঘুমন্ত কিশোরীকে দিনের বেলায় এক পেয়ে ধর্ষণ করেছে। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

হাসিব আল আমিন/পিএইচ