সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি নামক স্থানে বেড়িবাঁধে প্রায় ২০০ ফুট এলাকাজুড়ে এ ভাঙন দেখা দেয়। 

কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধে দেখা দেয় এই ভয়াবহ ভাঙন। এরপরও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে নতুন করে ভাঙনের আশঙ্কায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী এলাকার ৯নং সোরা গ্রামে বসবাসকারিদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের মিজানুর রহমান ও শামসুর রহমান বলেন, সম্প্রতি গাবুরার বেড়িবাঁধ সংস্কারের ৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। এরই মধ্যে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী ৯নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধে সেখানে কোনো জিওব্যাগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে বৈদ্যবাড়ি, পরে গাজিবাড়ি ও মালিবাড়িতে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তিন স্থানে ভাঙনের পরিমাণ প্রায় ২০০ ফুট। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা বাঁধ না দেওয়ায় ভাঙন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে গাবুরা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পানিতে নিমজ্জিত হতে পারে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও মাছের ঘের। 

তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, ভাঙনের বিষয়টি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর সেকশন অফিসার প্রিন্স রেজাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে গাবুরা এলাকায় ৪২০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৯নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি নামক স্থানে বেড়িবাঁধে প্রায় ২০০ ফুট এলাকাযুড়ে ভাঙন দেখা দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় সকলেই দীর্ঘ ঈদের ছুটিতে থাকায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তবে ঈদের পরই তারা ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল থেকে ভাঙন পয়েন্টে কাজ করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর সেকশন অফিসার প্রিন্স রেজা জানান, তারা ঈদের ছুটিতে রয়েছেন। অফিসে ফিরে বেড়িবাঁধের ফাটল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মোহাম্মদ মিলন/এএএ