এবার ঈদুল ফিতরে কর্মজীবীরা পেয়েছেন লম্বা ছুটি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলা নববর্ষের ছুটি। প্রিয়জনদের সঙ্গে লম্বা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। যার কারণে রোববার বিকেল থেকেই মহাসড়কে একটু একটু করে বাড়তে থাকে গাড়ি। রাতের মহাসড়কে ঢাকাগামী যানবাহনের চলাচল আরও বেড়েছে।

ঈদের চতুর্থ দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। 

মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোলচত্বর ও কড্ডার মোড়ে প্রচুর লোকাল বাসকে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। তবে সোমবার থেকে যাত্রী ও যানবাহন আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় কথা হয় রংপুর থেকে ঢাকাগামী লোকাল বাসের সুপারভাইজার হাসান আলীর সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বিকেল থেকে কিছু মানুষ ঢাকা যাচ্ছেন। তবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি আরও কয়েকদিন আছে। যার ফলে এখনো তেমন যাত্রী হচ্ছে না। তবুও আজ থেকে কিছু মানুষ চলাচল করছেন। ফলে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বেড়েছে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে যানবাহন চলাচল বাড়ছে। এখন ধীরে ধীরে মানুষ কর্মস্থলে ফিরবেন। মহাসড়কে সব যানবাহন একদম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। ঈদযাত্রার মতো ঈদ-পরবর্তী যাত্রাও স্বস্তির ও নির্বিঘ্ন হবে।

তিনি বলেন, হাইওয়ের বগুড়া রিজিওনের পুলিশ সুপার মহোদয় ঈদ-পরবর্তী যাত্রায় নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. জাফর উল্লাহ রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ-পরবর্তী কর্মস্থলে ফেরার যাত্রা এখনো সেভাবে শুরু হয়নি, তবে মহাসড়কে যানবাহন বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে এবারের ঈদ-পরবর্তী যাত্রা মূলত সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে। আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঈদযাত্রার মতো ঈদ-পরবর্তী যাত্রাও সুন্দর ও নির্বিঘ্ন হবে বলেও মনে করছেন এই কর্মকর্তা।

শুভ কুমার ঘোষ/এসএসএইচ