কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সরকারি রাস্তা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খাজানগর উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) প্রকল্পের আওতায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭২৯ টাকা ব্যয়ে খাজানগর মাদরাসাপাড়া নাজমুলের দোকান হতে হাজী আজিজুলের বাড়ির অভিমুখে রাস্তা সিসি ঢলাই করা হয়। যার দৈর্ঘ্য ছিল ৫৩১ ফুট ও প্রস্থ ৮ ফুট। সেই রাস্তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউএনও মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি মামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

স্থানীয়রা বলেন, আতিয়ার মেম্বার ও তার ভাইয়েরা সরকারি রাস্তা ভেঙে ফেলেছে। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। এখন বেহাল অবস্থা। রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।  ফলে পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। ভাঙা রাস্তায় চলাচলকারী বাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে চালকরা। এ অবস্থায় রাস্তাগুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে সরকারি রাস্তা ভাঙার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

এ বিষয়ে ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য রুশিয়া খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আতিয়ার মেম্বার ও তার ভাইয়েরা সরকারি রাস্তা ভেঙে ফেলেছেন। এতে পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।

বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আমাদের পৈতৃক জমিতে সরকারি অর্থায়নে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। সেসময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন মোমিন মন্ডল। আমাদের না বলেই রাস্তা করা হয়েছিল। রাস্তার প্রস্থ ৮ ফুট। আমাদের জমির মধ্যে পড়েছে ৪ ফুট, আর বাকি ৪ ফুট অন্যলোকের জমিতে পড়েছে। 

তিনি আরও বলেন, রাস্তা ভেঙেছে আমার ছোট ভাই রফিক। আমি রাস্তা ভাঙার সঙ্গে জড়িত না। আমি সেখানে ছিলাম না। 

এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রাজু আহমেদ/আরকে