ঝালকাঠির নলছিটিতে ঠাকুমার সঙ্গে সুগন্ধা নদীতে গঙ্গা স্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র আদর চক্রবর্ত্তী (৮) স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে গোসল করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ আদিত্য চক্রবর্তী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল চক্রবর্তীর ছেলে। সে পৌরসভার বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

জানা গেছে, শনিবার থেকে নলছিটি ফায়ার সার্ভিস, বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল টানা দুই দিন খোঁজাখুঁজি করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। বর্তমানে স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি ট্রলার নিয়ে মাইকিং করে সুগন্ধা নদীতে খোঁজাখুঁজি করেছেন। স্থানীয়দের ধারণা, ৩য় দিনে আদিত্যের দেহ ভেসে উঠতে পারে। 

স্থানীয়রা জানান, নদীর এই অংশের গভীরতা অনেক বেশি। তবে তীর থেকে সেটা বোঝার উপায় নেই। দেখলে মনে হবে চর। তাই এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি। যার কারণে ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

নিখোঁজ স্কুলছাত্র আদিত্য চক্রবর্তীর বাবা শিমুল চক্রবর্তী বলেন, শনিবার আমার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে গঙ্গা পূজা করতে নদীতে নামে আদিত্য। এ সময় আমার ছেলে নিচে তলিয়ে যায়। এরপর দুপুর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলও যোগ দিয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বলেন, ডুবুরি দলের সঙ্গে পুলিশের একটি টিম সেখানে কাজ করছেন। ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

মো. নাঈম হাসান ঈমন/এএএ