ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের তেতুলতলা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আজ সকালে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলে, দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং আরেকজন ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য এবং আরেকটি পরিবারের ২জন (মা-মেয়ে) প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহত একই পরিবারের ৪ সদস্য হলেন বোয়ালমারী উপজেলার সত্তরকান্দা গ্রামের তারা মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা ওরফে রফিক (৫৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), দুই ছেলে মো. আবু সিনান (৩) ও মো. রুহান মোল্লা (৮)।

অন্য নিহতরা হলেন সত্তরকান্দা গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭৩), আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর বাকাইল গ্রামের রশিদ খানের ছেলে তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (২৮) ও মেয়ে নুরানী আক্তার (২), একই গ্রামের নান্নু মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫), কুসুমদী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ নেওয়াজ আলীর মেয়ে কোহিনূর বেগম (৬০), আলেক সরদারের স্ত্রী শুকুরুন্নেছা (৭০), ইব্রাহিম খানের স্ত্রী সূর্য বেগম (৪০) এবং বোয়ালমারীর কুমরাইল গ্রামের মো. ইকবাল হোসেন (৩৫)।

করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসটিকে জব্দ করে হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জহির হোসেন/এমজেইউ