বন্ধুর আহ্বানে, এসো মিলি প্রাণের টানে-স্লোগানে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় বন্ধু মিলনমেলা ও ফ্যামিলি-ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মৃতির মোহনায় ৪০ বছর পর শতাধিক বন্ধু মিলিত হয়ে অনুষ্ঠানে এক বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়।

ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) জমকালো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাদুল্লাপুর উপজেলার এসএসসি ১৯৮৩-৮৪ ব্যাচ। 

সাদুল্লাপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সফল করতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন ভোরের ডাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোকছুদার রহমান মাকসুদ ও হাফিজার রহমান বাদল। 

বন্ধু মিলনমেলা ও ফ্যামিলি-ডে’র শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শফিকুল আলম, মোকছুদার রহমান মাকসুদ, সদস্য সচিব হাফিজার রহমান বাদল ও খন্দকার আব্দুল্যাহিল কাফি। 

এর আগে একটি র্যালি সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক আলোচনা সভায় শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মোস্তাফিজার রহমান, এফ কে ফারুক, রত্ন রানী সরকার, বকুল চন্দ্র সরকার, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। 

এ সময় মরহুম বন্ধুদের স্মৃতিচারণ ও তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানকে ঘিয়ে প্রকাশ করা হয় স্মরণিকাও।  

পরবর্তীতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন উপস্থিত শতাধিক বন্ধু। এতে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। এ যেন অনাবিল আনন্দে এক উৎসবে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন পর সব বন্ধু একসঙ্গে মিলিত হয়ে নানা গল্প-আড্ডায় মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। এরই মধ্যে সবার হাতে হাতে পৌছেঁ দেওয়া হয় দেয়াল ঘড়ি। 

এ বিষয়ে অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির ঢাকাস্থ নির্বাহী পরিষদের আহ্বায়ক মোকছুদার রহমান মাকসুদ বলেন, আমারা বন্ধুরা কর্মব্যস্ততায় বিভিন্নস্থানে অবস্থান করছি। ইচ্ছে থাকলেও অনেকের সঙ্গে সহজে দেখা করার সুযোগ হয় না। এবার ঈদের ছুটিতে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাই একসঙ্গে হতে পেরে অনেকটা ভালো লেগেছে। বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখতে এই মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।

এমএএস