বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিকাশ এজেন্টকে মারধর করে ৫ লাখক টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। আহত বিকাশ এজেন্টকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনরা। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের শনিরজোড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিকাশ এজেন্ট মো. রাকিব শনিরজোড় এলাকার বাসিন্দা। হামলকারীরাও একই এলাকার বাসিন্দা।

আহত বিকাশ এজেন্ট মো. রাকিব বলেন, স্থানীয় আল আমিনের কাছে রিচার্জ বাবদ ২০০ টাকা পেতাম। সন্ধ্যায় টাকা চাইলে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আল আমিন, তার মামা মোতালেব হাওলাদার, মোতালেব হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার ও জামাতা মো. বাদশা আমাকে মারধর শুরু করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে দোকানে থাকা ব্যবসার আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বেশি লুট করে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

রাকিবের বাবা ওলি হাওলাদার বলেন, ওরা শুধু আমার ছেলেকে মারেনি। এর আগে এলাকার অনেককে মারধর করেছে। চেয়ারম্যান-মেম্বার কাউকে তারা মানে না। আমরা ওদের বিচার চাই।

ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুম হাওলাদার বলেন, টাকা পাবে টাকা দিয়ে দেবে। এটা নিয়ে ঝামেলা করে ব্যবসায়ীকে মারধর করাটা মাস্তানি। তারা চাঁদাও চেয়েছে রাকিবের কাছে। আমরা হামলাকারীদের শাস্তি চাই।

এদিকে ব্যবসায়ী রাকিবের অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, রাকিবের পাওনা ২০০ টাকার জন্য সে আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। মামা মোতালেব হাওলাদার গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে, তাকেও গালিগালাজ করে এবং মামাকে ধাক্কা দেয়। তখন মামার ছেলেরা এগিয়ে আসলে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তবে দোকান থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। ছোট বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য রাকিব টাকা লুটের মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে দাবি করেন আল আমিন।

মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছউদ্দিন বলেন, একটি মারধরের ঘটনা শুনেছি। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেখ আবু তালেব/এমএএস