নোয়াখালীতে যাত্রী সেজে বাস কাউন্টারে টিকিট কিনতে গেলে নির্ধারিত দামের চেয়ে টিকিটের দাম বেশি নেওয়া হয়। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সেই কাউন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ।

জানা যায়, ঈদুল ফিতরকে পুঁজি করে বাসের টিকিট কিনতে নোয়াখালী থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী পরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এমন অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনা দেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে যাত্রী সেজে লাল সবুজ পরিবহনে টিকিট কিনতে যান সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজিদ বিন আকন্দ। সরকার নির্ধারিত ৫৫০ টাকা ভাড়া হলেও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ৭০০ টাকায় টিকিট বিক্রি করা হয়। তারপর লাল সবুজ পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়ায় চট্টগ্রামগামী বাধন পরিবহনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, আমি যাত্রী সেজে হাতেনাতে লাল সবুজ পরিবহনকে ধরেছি। চট্টগ্রামগামী বাধন পরিবহন নির্ধারিত ভাড়া ৩১৬ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা ও ঢাকাগামী লাল সবুজ পরিবহন ৫৫০ টাকার স্থলে ৭০০ টাকা করে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে আসছে । এজন্য  দুটি বাস কাউন্টারকে জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অতিরিক্ত আদায়কৃত ভাড়া উপস্থিত যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা ঈদের আগে অভিযানের পাশাপাশি বিআরটিএ অনুযায়ী সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকাও বিতরণ করেছি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর যেন ভাড়া বেশি না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যদি আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আবারও অভিযান পরিচালনা করব।

অভিযানে বিআরটিএ নোয়াখালীর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজিত রায় ও সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

হাসিব আল আমিন/এএএ