ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ১১ বছর বয়সী শিশু জাহিদ হাসান নির্জন। পড়শোনা করছে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। ঈদের ছুটিতে তার সুন্নতে খতনার আয়োজন করেছিল পরিবার। কিন্তু হাজামের ভুলে নির্জনের সুন্দর জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। খতনা করাতে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরুষাঙ্গ। তবে চিকিৎসায় বিচ্ছিন্ন অংশটি প্রতিস্থাপন করা গেলেও নির্জনের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার।

গত ১৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর-নওপাড়া গ্রামের প্রয়াত আইয়ুব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান নির্জনের খতনা করানো হয়। উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতন চর-আলগী গ্রামের খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। রক্তক্ষরণ শুরু হলে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শিশুটির অস্ত্রোপচারের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
 
শিশুটির পরিবার জানায়, সাত বছর আগে ২০১৭ সালে বাবা আইয়ুব আলী মারা যান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট নির্জন। বাবা মারা যাওয়ার পর মা নাছিমা খাতুন কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন।
 
শিশুটির চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান রনি জানান, অস্ত্রোপচারের পর নির্জনের জ্ঞান ফিরেছে। খাওয়া দাওয়া করতে পারছে। তবে সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে কী না তা এখনও বলা যাচ্ছে না। খতনা করাতে নির্জনের সুন্দর জীবনই এখন অন্ধকার মেঘে ঢেকে গেছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুরুষাঙ্গটি পুরোপুরি কাটা অবস্থায় আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল। এরপর এখানে অপারেশন করার পর পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তার পুরুষাঙ্গটি নষ্ট হয়ে গেছে, স্বাভাবিক কাজ সম্ভব নয়। তবে আমরা যতটা সম্ভব অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করছি।

উবায়দুল হক/এমএএস