গরমে অতিষ্ঠ যশোরের মানুজন। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, গত তিন দিনে যশোরের তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে তীব্র তাপদাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গরমে ডায়েরিয়া, চিনোপনিক্সসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীরা। এমন আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও ওর- স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

যশোর শহরের দড়াটানা মোড়ে ছাতা টাঙিয়ে জুতা মেরামত করছিলেন সুখেন্দু চন্দ্র। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছি। গত ৪-৫ দিন অস্বাভাবিক গরম। আমরা এখানে ছাতার নিচে বসে হাতপাখা দিয়ে যতটা পারি শরীর ঠান্ডা করি তবুও হয় না।

আরেক জুতা মেরমতকারী সসীম বিশ্বাস বলেন, গরমে হাসফাস অবস্থা। মানুষ বের হচ্ছে না। আয় রোজগারও কম।

শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে গাছের নিচে রিকশার ওপর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রিকশাচালক সেলিম হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোদে রিকশা চালাতে চালাতে গলা শুকিয়ে যায়। পানি খাই ঘন ঘন। সকাল থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া টেনে এখন বিশ্রাম নিচ্ছি, শরীরে আর কুলাচ্ছে না।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ও শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। গরমের কারণে ঈদের পর থেকে রোগী বাড়ছে। 

তিনি বলেন, এমন আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন খেতে হবে। শিশুদের ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

এ্যান্টনি দাস অপু/এমএএস