সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গাছড়া গ্রামের পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রমিজ মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তারের সময় মৃত্যুর ঘটনা নজরে এনে স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহিরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম এই আদেশ দেন। 

আদেশে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আদালত আদেশে বলেন, সংবাদ/প্রতিবেদনসমূহ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০(১) (সি) ধারায় আমল নেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিম্ম স্বাক্ষরকারী আদালতের নজরে আসে। উক্ত প্রতিবেদন সমূহে বর্ণিত ঘটনা পর্যালোচনায় আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহের কারণ রয়েছে যা তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত উক্তরূপ আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্তে তাহিরপুর থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কিনা কিংবা কোনো আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদনের ফটোকপিসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। আদেশের কপি জেলা ও দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছেও পাঠানো হয়েছে। 

আদেশে স্বাক্ষর করেন আমলগ্রহণকারী আদালত তাহিরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের লাঠির আঘাত ও ধস্তাধস্তিতে রমিজ মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি তারা তাকে ধরতে পারেনি। বৃদ্ধ শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। 

এমএএস