প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে হাতিয়া উপজেলা পরিষদের তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তিন প্রার্থী।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে হাতিয়া উপজেলায় তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আয়েশা ফেরদাউস, তার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক আলী অমি এবং জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন জমা দেন মুসফিকুর রহমান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন মো. কেফায়েত উল্যাহ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামছুন নাহার বেগম। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া মুসফিকুর রহমান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ফলে সকল পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।

এ বিষয়ে আশিক আলী অমি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা মোহাম্মদ আলী, আমার মা আয়েশা ফেরদাউস দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রার্থী হয়েছি। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো বলেছিলাম এবং আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। তবে কোনো প্রার্থী না থাকায় একক প্রার্থী হয়েছি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। হাতিয়ার আপামর মানুষের সেবা করতে চাই।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সকল পদে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ ও আগামী ৮ মে উপজেলা দুটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় কোনো পদেই প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ফয়সাল, মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী, মো. রফিক উল্লাহ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলেয়া বেগম, বিবি ফাতেমা, মুন্নী আহমেদ ও সালমা সুলতানা।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলায় কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে চেয়ারম্যান পদে  দুইজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ ও আগামী ৮ মে উপজেলা দুটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর