খুলনায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। সে কারণে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যুবলীগ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে এবং শ্রমিক সংকট নিরসনে খুলনা মহানগর যুবলীগ কৃষকদের ধান কাটার মেশিন উপহার দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলার তেরখাদা উপজেলায় কৃষকদের হাতে ধান কাটা মেশিন তুলে দেওয়া হয়। এসময় কয়েকটি ক্ষেতের ধান কেটে দেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের কৃষক সুজন বলেন, কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। একদিকে ধান পেকে গেছে, অন্যদিকে কারেন্ট পোকা ধরেছে। এতে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কৃষক ফারুখ মোল্লা বলেন, যুবলীগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মেশিন দেওয়া হয়েছে। মেশিনটি পেয়ে আমরা উপকৃত হব। দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পারব।

ইমরান মোল্লা বলেন, এখন বৃষ্টির সময়। যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে। এই মেশিন পেয়ে আমরা খুবই খুশি। যুবলীগ নেতাদের ধন্যবাদ জানাই।

আরেক কৃষক মো আলাল মোল্লা বলেন, আমরা ধান কাটতে গেলে মাজা লেগে যায়। কষ্ট হয়। আর এখন মেশিনে ধান কাটলে হেঁটে সোজা ও দ্রুত ধান কাটা যায়।

খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, কৃষিখাত টিকিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী সব সংগঠনকে কৃষকদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের যে ধান কাটার চর্চা আছে তা নয়, যে কারণে কৃষকদের মাঝে মেশিন দিয়ে দ্রুত ধান কাটার ব্যবস্থা করা হয়।

মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল সুজন বলেন, এখানে ধান কাটার সময় খুলনার বাইরে থেকেও শ্রমিক লাগে। যেহেতু লকডাউন চলছে। তাই প্রধানমন্ত্রী আহ্বান করেছেন কৃষকদের পাশে থাকার। যুবলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের ধান কাটার মেশিন উপহার দিয়েছি।

তেরখাদা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমির ধান কাটতে চারজন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তাদের একদিনের মোট মজুরি পড়ে যায় প্রায় ৩ হাজার টাকা। আর সময় মতো শ্রমিক পাওয়াও যায় না। কিন্তু এই মেশিনে এক ঘণ্টায় এক বিঘা জমির ধান কাটা যায়।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর/জেএস