কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসায় ডাকা সালিস বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান ও সাবেক এমপির সামনে দুই পক্ষের লোকজন চেয়ার ছোড়াছুড়ি  ও মারামারি করেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।

জানা গেছে, করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহবুবুর রহমান ফানুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি মীমাংসার বৃহস্পতিবার স্থানীয় করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সালিস বৈঠক বসে। এ সময় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষকে নিয়ে সালিস চলাকালে হঠাৎ কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে সালিস বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।

করগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুবুর রহমান ফানু বলেন, আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিসে বসলে সবাই ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এতে তার ভাতিজা সুমন মোল্লা, ফাহাদ মোল্লা ও আঙ্গুরসহ তার পক্ষের আরও লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও চেয়ার দিয়ে হামলা চালান। এ ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তবে  ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা বলেন, সবকিছুই পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। সালিস চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন আক্রমণাত্মক কথা বলেন। আর তাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছেন বলে আমার জানা নেই।

করগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার নিজস্ব পালিত গুন্ডাবাহিনী রয়েছে। এই গুন্ডাবাহিনীই সাধারণ লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। সে অপরাধী যার জন্য গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। 

কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর