ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সক্রিয় হওয়ায় দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সেদেশে চিকিৎসা বা জরুরি কাজে যাওয়া বাংলাদেশিদের অনেকে আটকা পড়েন। কলকাতার উপ-হাইকমিশনের বিশেষ অনুমতিতে তাদের মধ্যে অনেকে দেশে ফিরছেন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বেনাপোল পৌর এলাকার ৭টি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে প্রশাসন।

সীমান্ত বন্ধের পরে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভারতে আটকে পড়া  ৪৩৯ জন বাংলাদেশি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন ৬৭ জন। তবে আগত বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ আছেন। তারা ভারতে গিয়ে করোনা পজিটিভ হন।

নতুন করে এ পথে কোনো পাসপোর্টধারীর ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

এদিকে চিকিৎসা শেষে হাতে খরচের টাকা না থাকায় ভারত ফেরত বাংলাদেশিরা সমস্যায় পড়েছেন। নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অসহায় হয়ে দিন পার করছেন বলে জানা গেছে। তবে সরকারি নির্দেশনা মানতে তাদের বাধ্য হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।                       

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, ভারত ফেরত বাংলাদেশিদের সবাইকে বেনাপোল বন্দর এলাকার ৭টি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সেখানে সব খরচ যাত্রীদের বহন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ফেরত আসা করোনা পজিটিভ ৩ বাংলাদেশিকে যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকায় আটকে পড়া যাত্রীদের ৪৩৯ জন ভারত থেকে ফিরেছেন। ভারতীয় নাগরিক ফিরেছেন ৬৭ জন। তবে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্টযাত্রী নতুন করে ভারতে যাননি এবং কোনো ভারতীয় বাংলাদেশে আসেননি।

আতাউর রহমান/এমএসআর