ধানকাটা শ্রমিকদের জন্য ইফতার নিয়ে মাঠে গেল পুলিশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বোরো ধানকাটার ধুম লেগেছে। ধানকাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। তাদের জন্য ইফতার নিয়ে মাঠে গেল আত্রাই থানা পুলিশ।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভাপাড়া মাঠসহ বিভিন্ন মাঠের কৃষক ও ধানকাটা শ্রমিকদের ​মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ধানকাটা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষাবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয় এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়ার দিকনির্দেশনায় কৃষকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষাবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মাস্ক পরতে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

ধানকাটা শ্রমিক ইব্রাহিম বলেন, আমি পাঁচ বছর ধরে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় ধানকাটার জন্য পঞ্চগড় জেলা থেকে আসি। এর আগের বছর থাকা-খাওয়ার খুব কষ্ট ছিল। কিন্তু এবার নওগাঁ পুলিশের কল্যাণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সেজন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ।

আত্রাইয়ের ভবানীপুর জি এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমান বলেন, করোনা মহামারির কারণে স্থানীয় কৃষকরা ভয় পেয়েছিলেন; ধানকাটার শ্রমিক পাবেন কিনা। তবে ভয় দূর করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। পুলিশের এমন কাজ প্রশংসার দাবিদার।

ধানকাটা শ্রমিকদের জন্য ইফতার নিয়ে মাঠে গেল পুলিশ

ধানকাটা শ্রমিক স্বপন কুমার বলেন, নীলফামারী জেলা থেকে গত সোমবার এসেছি আমরা ২২ জন। প্রত্যেকেই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে রাতযাপন করেছি। এই অঞ্চলের গৃহস্থরা অনেক ভালো মনের মানুষ। তাদের ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ। নওগাঁ জেলা পুলিশ আমাদের সহায়তা করেছে।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধানকাটার জন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি অনেক শ্রমিক আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। তাদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াতসহ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে তাদের।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করছি। বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা। তবে করোনা নিয়ে ভীতি ছড়াবেন না, সবাই সচেতন হোন। ঘরে থাকুন। নিজের পরিবার ও দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখুন। মাস্ক পরার ওপর গুরুত্বারোপ করে শ্রমিকদের মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তাদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। শ্রমিকদের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন ওসি।

শামীনূর রহমান/এএম