নাটোরে নিরাপদ আম ও লিচু আহরণ-সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ মে থেকে আম ও ২০ মে থেকে লিচু গাছ থেকে নামানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় গুটি জাতের আম ও লিচু এই সময়ে নামানোর অনুমতি মিললেও উন্নত জাতের আম ও লিচু নামানোর জন্য আলাদা নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করা হয় এই সভায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বাগান মালিক, ব্যবসায়ী, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই তারিখ ঘোষণা করেন।

সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী স্থানীয় মোজাফফর জাতের লিচু আহরণ করতে পারবেন ২০ মে থেকে এবং বোম্বাই ও চায়না জাতের লিচু ২৭ মে থেকে আহরণ করা যাবে।

এ ছাড়া স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে নামানো যাবে। আর গোপালভোগ ২৫ মে, রানিপছন্দ ৩০ মে, লক্ষণভোগ ৫ জুন, খিরসাপাত ৩০ মে, ল্যাংড়া ১২ জুন, মোহনভোগ ২০ জুন, হাড়িভাঙ্গা ২৫ জুন, ফজলি ৩০ জুন, আম্রপালি ২৫ জুন, মল্লিকা ৫ জুলাই, বারিআম ১০ জুন, আশ্বিনা ২০ জুলাই ও গৌরমতি জাতের আম ২০ আগস্ট থেকে আহরণ ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীরা।

সভায় জেলা প্রশাসক জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এবার আম, লিচুসহ গ্রীষ্মকালীন ফল দেরিতে এসেছে। বাজারে যাতে অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো ফল বিক্রি করতে না পারে সেজন্য কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এই ফল আহরণ, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। এর আগে আম বা লিচু বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি মনিটরিং করতে কৃষি বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসন আলাদা তদারকি ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন, উপ-পরিচালক (উদ্যান) শামসুর নাহার ভুঁঞা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান প্রমুখ।

গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ