নাজমুস হাসিব

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় এক চিত্রসাংবাদিককে চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার চিত্রসাংবাদিকের নাম নাজমুস হাসিব। তিনি এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হিসেবে কুষ্টিয়ায় কর্মরত।

জানা গেছে, বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হাসিবকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে থানায় নিয়ে গিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করে পুলিশ।

নাজমুস হাসিব জানান, দায়িত্ব পালনকালে তাকে শালঘর মধুয়া থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে কুমারখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। থানা পুলিশ তাকে গাড়িতে উঠিয়েই নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে থানায় নিয়ে আসার পর একটি রুমে দরজা আটকে চোখ বেঁধে হকিস্টিক ও হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেদম মারধর করে। বর্তমানে তিনি কুমারখালী থানা হাজতে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।

কুমারখালী থানার সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, কোনো সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়নি। নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কুষ্টিয়ার সাংবাদিক মহল। অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। এ সময় কুষ্টিয়া জেলার কর্মরত সকল স্তরের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়ে যাওয়া এবং সর্বশেষ কুমারখালীতে এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন নাজমুস হাসিবকে চোখ বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিবৃতি এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির (বিএমএসএস) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি খন্দকার আছিফুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. সুমন সরদারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক সমাজ।

বিবৃতিতে ঘটনার সঠিক তদন্তের ব্যবস্থা করে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমনকি সঠিক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর অবস্থানে যাবেন বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন।

রাজু আহমেদ/এসপি