বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারের আওতাধীন এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্টেশনে ভাসমানভাবে জীবনযাপন করতেন। অপরজন ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। বুধবার (১৫ মে) ভোরে সান্তাহার রেলওয়ে থানাধীন তিলকপুর ও আত্রাই স্টেশনে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।

আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনে কাটা পড়ে মারা যান রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪)। আর তিলকপুর স্টেশন এলাকায় মারা যান কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার নারিকেল পাড়ার আব্দুল হকের ছেলে তোজাম্মেল হক বকুল (২৪)।

সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোক্তার হোসেন নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বুধবার (১৫ মে) ভোর ৫টার দিকে আত্রাই স্টেশন অতিক্রম করে। ওই সময় আলমগীর হোসেন নামে ওই যুবক ট্রেনের নিচে পড়েন। শরীরের একপাশ কেটে যাওয়ায় মারা যান আলমগীর।

এরপর একই ট্রেন সান্তাহার রেল জংশন পাড় করে তিলকপুর স্টেশন এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে দ্রুতযানের যাত্রী তোজাম্মেল হক বকুল ট্রেনের দরজা থেকে পড়ে মারা যান। তিনি নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।

ওসি মোক্তার হোসেন বলেন, পরিবার সূত্রে জানা যায় যে আলমগীর মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে বেড়াত। গতকাল রাতে তাকে আত্রাই স্টেশনের লোকজন উদ্‌ভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখেছেন। আর তোজাম্মেল হক রেলের দরজায় বসে ছিলেন। খুব সম্ভবত ঘুমের ঘোরে তিনি পড়ে যান।

ওসি আরও বলেন, দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমজেইউ