নোয়াখালীর সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আয়েশা খাতুন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তার স্বামী সামছুদ্দিনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর কখনও দারোয়ান কখনও শ্রমিক ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার সামছুদ্দিন নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার মাইজছড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার পৌর বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি ২০০২ সালে তার স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন ও গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সুধারাম থানার এএসআই মো. মোখলেছুর রহমান নিজে বাদী হয়ে ২০০২ সালের ১৩ জুন হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই আসামি সামছুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে কখনও দারোয়ান কখনও শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে র‍্যাব-১১ বেগমগঞ্জ উপজেলার পৌর বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সামছুদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে গলাটিপে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। এ মামলায় আদালত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

হাসিব আল আমিন/পিএইচ