গজারিয়ায় গভীর নলকূপেও উঠছে না পানি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ভূ-গর্ভস্থ (মাটির তলদেশ) পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে নলকূপ থেকে উঠছে না পর্যাপ্ত পানি। শক্তি প্রয়োগ করে টিউবওয়েল চাপ দিয়ে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পানি।

১ মাস ধরে গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে সমস্যাটি দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে।

এই রমজানে কাঙ্ক্ষিত পানি না পেয়ে জনদুর্ভোগ নাভিঃশ্বাসে উঠিছে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলার ভবেরচর, বাউশিয়া, বালুয়াকান্দিসহ অন্য এলাকার ২০ হাজার পরিবার।

উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আরিফুল জানান, এক মাস হয় আমাদের বাড়ির নলকূপে পানি উঠছে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ি থেকে পানি আনতে হচ্ছে। অন্য বাড়িতে আগে এক চাপে যে পরিমাণ পানি উঠতো, এখন সে পরিমাণ পানির জন্য ১০টি চাপ দিতে হচ্ছে।

একই এলাকার তপন দেওয়ান জানান, অগভীর নলকূপ তো দূরের কথা গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না। বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি ব্যবহার করছি।

নাদিয়া আক্তার জানান, গোসল ছাড়াও রান্না করার কাজে প্রতিদিন অনেক পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের নলকূপে পানি না ওঠায় বাধ্য হয়ে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। আশপাশের বাড়িতেও একই সমস্যা। ফলে যেখানে পানি উঠছে, সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে পানি সংগ্রহ করছি।

পানি সংকটে থাকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৭০০ থেকে ৯০০ ফুট গভীরস্থ নলকূপেও মিলছে না পানি। এদিকে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় জলাশয়গুলোতেও রয়েছে পর্যাপ্ত পানির অভাব।

ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকার বাসিন্দা রমজান মিয়া বলেন, উপজেলায় এমন সংকট আজ প্রায় এক মাস হলো। বৈশাখে এমন তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টি গত ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আমার বাড়ির নলকূপটি ৯০০ ফুট গভীর অথচ পানি উঠছে না।

আরেক বাসিন্দা মশিউর প্রধান জানান, দীর্ঘ দিনের অনাবৃষ্টিতে এই অঞ্চলে পানির সংকট তৈরি হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী পানির চরম অভাব দেখা দিয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের গজারিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ দিদারুল ইসলাম কায়েসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ব ম শামীম/এমএসআর