কুড়িগ্রামে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ওপর বাজি ধরার সময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

আটকরা হলেন- সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের বিশ্বোর গ্রামের আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে মশিউর রহমান (৩৪), পৌরসভা এলাকার পলাশবাড়ী বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (২২) ও  কৃঞ্জপুর চড়ুয়াপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মাহবুবার রহমান মাহবুব (২৮)।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আটকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও জুয়া আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। 

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম পৌরসভার কলেজমোড়ে ভাই ভাই ডিজিটাল স্টুডিও থেকে বাজিকর মশিউর রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ‘সাট স্পোর্টস’ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা হচ্ছিল। তার সঙ্গে বাজিতে সম্পৃক্ত ছিল ১১২ জন সদস্য। মোবাইলে সেসময় লেনদেন করা হয়েছে ৩৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং ব্যালেন্স ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১১৫ টাকা। মশিউর রহমান স্বীকার করেন  তিনি একজন সাব এজেন্ট। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, মূল এজেন্টের অধীনে কুড়িগ্রামে ৭ থেকে ১০ জন সাব এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। পরে পুলিশ তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর এজেন্ট সাদেকুর ইসলামকে শহরের বানিয়াপাড়া মোড় থেকে এবং বাজিকর মাহবুবার রহমান মাহবুবকে শহরের কৃঞ্জপুর চড়ুয়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। 

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, একজন সাব এজেন্ট এক লাখ টাকা লেনদেন করলে ৭ হাজার টাকা কমিশন পান। এছাড়াও জিতলেও পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়। 

সাব এজেন্ট মাহবুব জানান, মার্চে তার ৪১ জন ক্লায়েন্টের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছে। শুধু আইপিএল নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ওপর এই বাজি পরিচালনা করা হয়। 

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও জুয়া আইনে মামলা করেছেন। মূল এজেন্ট ও অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুয়েল রানা/আরএআর