ঠিকমতো পটল বাজারজাত করতে না পারায় ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের

কুড়িগ্রামে এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পটলের ফলন ভালো হয়নি। এ কারণেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এরপরও নিয়মিত কীটনাশক ও পরিচর্যা করে ক্ষেত ভালো রাখার চেষ্টা করছেন পটলচাষিরা।

করোনাভাইরাসের প্রভাব ও লকডাউনের কারণে পটলের যে ফলন হয়েছে, তা ঠিকমতো বাজারজাত করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

পটলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে পটল চাষে সব মিলে ব্যয় হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ক্ষেতে ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমির পটল বিক্রি হবে প্রায় ১ লাখ টাকা।

পটলক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

তবে এখন ক্ষেতে যে হিসেবে ফলন আসছে তাতে আসল টাকাই উঠবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহে রয়েছে কৃষকদের। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পটলের ফলন ভালো হয়নি বলে জানান তারা। তার পরেও তারা নিয়মিত কীটনাশক ও পরিচর্যা করছেন।

কয়েকদিন বৃষ্টি হলে ক্ষেতে ফলন খুবই ভালো হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৩৬০ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে। 

কুড়িগ্রামে এ বছর ৩৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে পটল

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতোলা গ্রামের পটলচাষি নুর আলী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এবার পটলের ফলন ভালো হয়নি। এর মধ্যে আবার করোনার প্রভাবের কারণে বাজারে দামও অনেক কম। করোনার কারণে পটলের চাহিদা এবার অনেক কম।

ওই গ্রামের কৃষক সাহাব উদ্দিন বলেন, এই সময়ে আমরা পটল বিক্রি করতাম মণপ্রতি ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। সে জায়গায় এবার ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ফলন খুব খারাপ হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, যেসব কৃষক সেচ দিয়ে পটল ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন, তাদের ফলন ভালো হচ্ছে। তাছাড়াও বৃষ্টি হলে অন্য কৃষকদের ফলনও ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।

জুয়েল রানা/এমএসআর