প্রচণ্ড গরমে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার একটি এতিমখানায় কাহিল হয়ে পড়ছিল এতিম শিশুসহ শিক্ষকরা। অর্থের অভাবে তারা ফ্যান কিনতে পারছিলেন না। সালাউদ্দিন আল ফারেসী নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানায় ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন সন্ধানী হিউম্যান এইড ফাউন্ডেশন। 

সেই পোস্ট দেখে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। হৃদয়বান মানুষগুলোর দেয়া সেই সহযোগিতায় ওই এতিমখানায় ১৫টি ফ্যান কিনে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের একটি দোকান থেকে রাণীশংকৈল দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া এতিমখানা মাদরাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের হাতে ফ্যানগুলো তুলে দেয়া হয়।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাদরাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এতিমখানাটি সীমান্তবর্তী এলাকায়। করোনার কারণে গত এক বছরে আমরা তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। অনেক দিন হলো গরম সহ্য করছি। ফ্যান কেনার মতো অবস্থা ছিল না আমাদের। অবশেষে এক আপার মাধ্যমে ১৫টি ফ্যান পেলাম আমরা। এজন্য আপা ও সন্ধানী হিউম্যান এইড ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ এবং অর্থদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
 

এ বিষয়ে সন্ধানী হিউম্যান এইড ফাউন্ডেশনের সক্রিয় সদস্য কুমকুম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সালাউদ্দিন আল ফারেসী নামে একজনের মাধ্যমে জানতে পারি ওই এতিমখানায় ফ্যান নেই, শিশুরা গরমে কাহিল হয়ে পড়ছে। এরপর আমরা আরও গভীরভাবে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হই। এরপর এতিমখানার হাফেজ সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং আজ ফ্যানগুলো উনাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যানের সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর দেশ ও প্রবাস থেকে অনেক ভাই-বোন আমাদের সহযোগিতা করেছেন। 

কুমকুম খান বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা অসহায়দের সহযোগিতা করে থাকি। এর আগে বন্যার্তদের ত্রাণ দিয়েছি। এছাড়া কিছু অসহায়কে অটোরিকশা ও সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে স্বাবলম্বী করে দিয়েছি। পাশাপাশি রমজান মাসে কিছু মানুষকে ১০ দিনের বাজার করে দেয়া হয়েছে।

এমএএস