আবদুল কাদের মির্জা

দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও এবারের ঈদুল ফিতরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২টা ২০ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি। স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে ১০ লাখ টাকা প্রদান ও গরিব অসহায় ৫ হাজার মানুষের মাঝে ঈদ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করব।’

এ বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এটা আমার জন্য নতুন কিছু না। আমি প্রতি ঈদে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে এভাবে সহযোগিতা করে আসছি। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিতরণ করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো দিচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও কেন সহায়তা করছেন? এমন প্রশ্নে কাদের মির্জা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করে যাব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনকে সহযোগিতা করে যাব। এর জন্য আওয়ামী লীগে থাকা জরুরি না।

কাদের মির্জার ফেসবুক স্ট্যাটাস

তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইতিবাচক মন্তব্যের সঙ্গে নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন অনেকেই। কপিল উদ্দিন নামে ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘ধন্যবাদ মানবতার লিডার জনাব আবদুল কাদের মির্জা। নোয়াখালীর গৌরব হিসেবে কাজ করে এবং আগামী নতুন কিছু করবেন আশা করি। আপনি সারা জীবন মানুষের সুখ-দুঃখের মাঝে থাকবেন।’

কামরুল হাসান নামে ফেসবুক আইডি থেকে একজন লিখেছেন, ‘আপনার লোক দেখানো টাকা দিয়ে কী লাভ বলেন? আপনার পেছনে রাজনীতি করে আপনার থেকে এই তিন মাসের ভেতরে সেরা উপহার পেয়েছি তা হলো, ৮/১০টা মামলা, হামলা অপমান ও নির্যাতন! আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক।’

মুস্তাকিম মাহমুদ সোহেল নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়, ‘জনতার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। যে নেতা জনতার তাকে রুখিবার সাধ্য কার।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ওই পৌরসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি।

স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধের ঘটনায় ১ মাসে দুটি সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ মার্চ) সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দেন।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর