ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলাকে ১০ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। মোড়ে মোড়ে ওড়ানো হয়েছে লাল পতাকা।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্যামনগর উপজেলার ১৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বি‌ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে।

উপজেলার উপকূলীয় গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

আটুলিয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক গোলাম হোসেন বলেন, ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের পক্ষ থেকে অতিদ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে এবং পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের টিমলিডার আনিসুর রহমান মিলন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের ৭০ জন সদস্যের একটি শক্তিশালী টিম ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে। এ ছাড়া শ্যামনগর উপজেলার জন্য যুব রেড ক্রিসেন্টের হটলাইন চালু করা হয়েছে। তাদের মোবাইল নং- ০১৩০৯-৯৩৫৪১২।

মোহাম্মদ মিলন/এএএ