পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে ধানের ক্ষেত

কুষ্টিয়ায় কোথাও বৃষ্টি নেই। প্রচণ্ড রোদে জমিতে পানি না থাকায় শুকিয়ে গেছে বোরো ধানের ক্ষেত। ক্ষেতের জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ধান বাঁচানো নিয়ে চরম হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে বোরো ধানের জমিতে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

খরার তীব্রতায় বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। রোদে পুড়ে হালকা বিবর্ণ হয়েছে ধানের গাছগুলো। বৃষ্টি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

মিরপুর উপজেলার সদর এলাকার ধানচাষি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ধান নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। দুই বিঘা বোরো ধানের আবাদ করেছি। পানির অভাবে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিও হচ্ছে না।’

রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে ধানের গাছগুলো

ভেড়ামারার ধরমপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল আলী বলেন, ‘ধানের জমি একদম ফেটে গেছে। পানি না পেলে তো ধানই হবে না। মেশিন দিয়ে পানিও নিতে পারব না। পাইপ দিয়ে পানি নেওয়া খুবই ঝামেলা। সারাবছর না নিয়ে দুদিনের জন্য তো আর মেশিনের মালিক পানি দিতে চাইবে না।’

মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার কৃষক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘যে রোদ পড়ছে, এমনিতেই ধানের মাথা পুড়ে যাছে। এখন জমিতে পানি না থাকলে তো ধান চিটা হয়ে যাবে। পানির অভাবে মাটি একদম শুকিয়ে গেছে।’

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, যাতে করে পানির অভাবে ধানের ফলনের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে এজন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলে বোরো ধান যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বলেন, এই সময় মাটি ফেটে গেলে ফলন কমে যেতে পারে। বোরোচাষিদের পানির প্রয়োজন রয়েছে। তবে আগাম ধানের জমিতে পানি না থাকলেও চলবে।

রাজু আহমেদ/এমএসআর