মেঘনায় বাল্কহেডে অভিযান, ১২ সুকানি গ্রেপ্তার
চাঁদপুর শহরের মেঘনা নদীর মোলহেড ও সদর উপজেলার রাজরাশ্বের ইউনিয়নের মিনি কক্সবাজার নামক স্থানে বাল্কহেডে পৃথক দুটি অভিযানে সুকানি যোগ্যতা সনদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ১২ জন সুকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানান চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
মোলহেডের অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সুকানি মো. ফিরোজ (৩৮), মো. লাভলু (২৫), মো. আকবর (২৯), মো. তারেক (২০) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০)। এদের বাড়ি পিরোজপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায়।
রাজরাশ্বের এলাকায় অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সুকানি মো. মহিউদ্দিন (৩৪), মো. মোক্তার হোসেন (২৮), রিপন (৩২), মো. রুবেল (২৩), মিজান (৪৪), মহিউদ্দিন (৩৪) ও হুমায়ুন কবীর (৫৫)। এদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরগুনা ও বাগেরহাট জেলায়।
বিজ্ঞাপন
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর মোলহেড এলাকায় তিনটি বাল্কহেডে অভিযান চালানো হয়। নিষিদ্ধ সময়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বেপরোয়া গতিতে বাল্কহেড চালানোর অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সিকাল ৬টা থেকে সোয়া ৭টা পর্যন্ত এসআই মিঠুন বালার নেতৃত্বে রাজরাজেশ্বর এলাকায় আরেকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৭টি বাল্কহেডের কাগজপত্র যাচাই করে বাল্কহেডে সার্ভে সনদ ঝুলিয়ে না রাখাসহ রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ্য স্থানে উৎকীরন ও সুকানি যোগ্যতা সনদ না থাকার অপরাধে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, প্রথম অভিযানে গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ২৮০/৩৪ ধারায় তিনটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। দ্বিতীয় অভিযানে গ্রেপ্তার সাতজনের বিরুদ্ধে অভ্যান্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধনি-২০০৫) বিভিন্ন ধারায় মেরিন আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। জব্দকৃত সাতটি বাল্কহেড চালকের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল হক/এমজেইউ