ঠাকুরগাঁও সদ‌র উপজেলায় শাহনাজ আক্তার (২০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরু‌দ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী বিশাল রহমানসহ তার প‌রিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে সদর উপজেলার র‌হিমানপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পু‌লিশ। অভিযুক্ত বিশাল রহমান (২২) একই এলাকার ফারুক হো‌সে‌নের ছেলে। 

এলাকাবাসী ও নিহ‌তের স্বজনদের জানান, প্রায় ১ বছর আগে একই উপ‌জেলার রায়পুর ইউনিয়‌নের কাঁচনা এলাকার শাহজাহা‌নের মে‌য়ে শাহনাজ আক্তারকে ভা‌লো‌বে‌সে বি‌য়ে করেন বিশা‌ল। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য শাহনাজকে মারধর করতেন। আজ‌ ভো‌রে বিশা‌লের বা‌ড়ি থে‌কে চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে প্রতি‌বেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় তারা শাহনাজ‌কে বিছনায় মৃত অবস্থায় প‌ড়ে থাক‌তে দে‌খে পু‌লি‌শে খবর দেন।  প্রতি‌বেশীদের দে‌খে দ্রুত পা‌লি‌য়ে যান বিশাল, তার বাবা ফারুকসহ প‌রিবারের সদস্যরা। 

নিহত শাহনা‌জের বাবা শাহজাহান ব‌লেন, তারা ভা‌লো‌বে‌সে সম্পর্ক ক‌রে বি‌য়ে ক‌রে। চার মা‌সের অন্তঃসত্ত্বা মে‌য়ে‌টি‌কে তার স্বামী, শ্বশুর ও তার দেবর গলা টি‌পে শ্বাস‌রোধে হত‌্যা ক‌রে‌ছে। এর আগেও শ্বশুরবা‌ড়ির লোকজন শাহনাজ‌কে মারধর কর‌তো। 

র‌হিমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম‌্যান মো. আব্দুল হান্নান ঢাকা পোস্টকে ব‌লেন, অভিযুক্ত বিশাল বেকার ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন কর‌তেন। তার বিরু‌দ্ধে ইউনিয়ন প‌রিষ‌দে একা‌ধিক অভি‌যোগও রয়ে‌ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহ‌তের মর‌দেহ বিছানায় প‌ড়ে‌ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন করা হ‌য়ে‌ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। মরদেহ ঠাকুরগাঁও জেনা‌রেল হাসপাতা‌লের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরিফ/আরএআর