ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। কিন্তু এখনও সাতক্ষীরার হাটগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি জমেনি বলে দাবি বিক্রেতাদের। 
এবার জেলায় রয়েছে ৯টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী হাট। হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। 

ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। তবে বিক্রেতাদের দাবি, গোখাদ্যের দাম বাড়ার কারণে পশু পালনে খরচ বেড়েছে। ফলে হাটে যে দাম উঠছে, তাতে লোকসানের শঙ্কা করছেন তারা।

হাট থেকে গরু কিনতে আসা সাতক্ষীরা মুনজিতপুর এলাকার শেখ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অনেকক্ষণ ঘুরে একটা গরু কিনলাম। সাথে বাচ্চারা ছিল, সবার পছন্দ হয়েছে। তবে দামটা একটু বেশি মনে হয়েছে।

আগরদাঁড়ি থেকে ৬টি গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী বলেন, সকালে ৬টি গরু নিয়ে আসছিলাম। সবগুলো বিক্রি করেছি, লস হয়েছে তবুও ছেড়ে দিয়েছি না হলে আবার বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। 

আগরদাঁড়ি থেকে ৩টি গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, আগের বছরের মতো হাট এবার জমেনি। ওই বেলায় আইছি এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেনি। এক এক জন আসে একেক রকম কথা বলে। গোখাদ্য এক কেজি ভূষির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এদিকে গরুর দাম কম খাদ্যের দাম বেশি। মানুষ কিনতে পারছে না। 

ব্যবসায়ী সোহেল পারভেজ বলেন, সকালে আইছি এখনো বিক্রি হয় না। কাস্টমারের দামের সাথে মেলে না। ২৫০ কেজি থেকে ৩০০ কেজি গরু কাস্টমার ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা দাম বলে। গত বছর আমি গরু কিনেছি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। তাহলে কেমনে বিক্রি করব। এখন চেষ্টায় রয়েছে দেখি কত হয়। লাস্টে যদি না হয় বাড়ি নিয়ে যাব। সামনের বার থেকে আর গরু পালব না। 

সাতক্ষীরা সদরের আবাদের হাটের ইজারাদার হাবিবুর রহমান হবি বলেন, সারাবছর সপ্তাহে দুই দিন অর্থ্যাৎ শনিবার ও মঙ্গলবার এই হাট বসে। দূর-দূরান্ত থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা যেমন গরু নিয়ে আসেন, তেমনি বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারাও আসেন এখানে গরু কিনতে। সাতক্ষীরার হাটে কোরবানির পশু বিক্রি ভালো জমেনি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০৮টি পশু প্রস্তুত রয়েছে, তবে জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৫৭৭টি। বিগত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২৯ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য স্থায়ী অস্থায়ী ১৫টি পশুর হাট বসেছে। এর পাশাপাশি খামার থেকে সরাসরি পশু বিক্রি করা হচ্ছে।

আরকে