মিরনজিল্লা কলোনি উচ্ছেদে জড়িতদের শাস্তির দাবি
ঢাকার মিরনজিল্লা কলোনি থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে রংপুরে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে উচ্ছেদের শিকার সকল পরিবারের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে উচ্ছেদের মদদদাতাসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানেয়েছেন সমাবেশে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
রোববার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের আয়োজনে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির রংপুর জেলা সভাপতি সুরেশ বাসফোর সভাপতিত্ব ও সহ-সভাপতি রাজু বাসফোর সঞ্চালনা করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় সংহতি সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শত শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এই দেশকে পরিষ্কার রাখছে। তাদেরই একটি অংশ ঢাকার মিরনজিল্লা কলোনিতে বসবাস করে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের মদদে স্থানীয় কাউন্সিলর আউয়াল সবজি মার্কেট করার কথা বলে হরিজনদের পাঁচ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করেছে। ফলে শতাধিক পরিবারের কয়েকশ মানুষ তাদের বাসস্থান হারিয়েছে। বেআইনিভাবে উচ্ছেদের শিকার মিরনজিল্লা কলোনির এই পরিবারগুলোকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ পুনর্বাসন করতে হবে। চারশ বছর ধরে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে যারা উচ্ছেদ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রংপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোজাহার আলী, বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুর জেলার সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, বাসদ রংপুর জেলার আহ্বায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক সুবল, মহানগর সভাপতি সুব্রত সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায়, সহ-সভাপতি সুব্রত কুমার রায়, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রংপুর জেলার সভাপতি বিমল খালকে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ