সাভারে ফুডপান্ডার এক কর্মীকে মারধরের রেশ না কাটতেই ডাকে সাড়া না দেওয়ায় এবার এক রিকশাচালককে মারধর করলেন ফার্মেসি ব্যবসায়ী। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (০২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের থানা রোড এলাকার সুবজ ফার্মেসির সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে পাশের কোনো এক ব্যক্তি ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।

রিকশাচালককে মারধরকারী ফার্মেসি ব্যবসায়ীর নাম মোফাজ্জল হোসেন। তিনি থানা রোডের সবুজ ফার্মেসির মালিক। 

ঘটনার পর রিকশাচালকের সন্ধান করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি থানা রোডের আশপাশেই থাকেন বলে জানা গেছে। ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তাকে মারধর করেছেন বলে জানিয়েছেন ফার্মেসির মালিক।

ফেসবুকে দেওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রিকশাচালককে তার রিকশা থেকে নামিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছেন তোফাজ্জল হোসেন। পরে তাকে লাথি দেন। এর আগে রিকশার চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এ সময় রিকশাচালক বলেন, আমার বাসায় ঝগড়া লাগছে, ভাই আমার বাসায় ঝগড়া লাগছে; তাড়াতাড়ি যেতে হবে। পাশ থেকে রিকশাওয়ালাকে আরেকজন বলছেন, তোরে তো যাইবারই কইতাছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালককে ডাক দেন ওই ফার্মেসি মালিক। ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন রিকশাচালক। এ সময় তাকে থামিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন ফার্মেসির মালিক ও তার সহযোগীরা।

জানতে চাইলে ফার্মেসি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মারধরের কারণ জানতে এত রাতে ফোন দিয়েছেন? তাকে ডেকেছি, কিন্তু কথা শোনেনি। এজন্য মারধর করা হয়েছে।

আপনার সঙ্গে তাকে মারধরকারী অন্যরা কারা ছিলেন জানতে চাইলে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব। ওই সময় কে কি করল সেটি খেয়াল করিনি।

ডাকে সাড়া না দেওয়ায় রিকশাচালককে মারধর করা ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তবে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সাভারে ফুডপান্ডার এক কর্মীকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিগত সহকারী (পিও) সুজন।

মাহিদুল মাহিদ/এএম