টুম্পা কর্মকার

নওগাঁর সাপাহারে অলৌকিকভাবে মেয়ে থেকে লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে ছেলে হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিমুলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিমুলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামের রাজকুমার কর্মকার ও পুষ্প রানীর বড় মেয়ে টুম্পা কর্মকার (১৩)। পারিবারিক অসচ্ছলতা ও বাবা প্রতিবন্ধী হওয়ায় টুম্পা বিভিন্ন কাজকর্ম করতেন। এদিকে ১০-১২ দিন আগে হঠাৎ টুম্পার শারীরিক অবয়ব ও কণ্ঠের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার পরিবার। পরিশ্রমের কারণে এমনটা হয়েছে মনে করেন তার পরিবার।

টুম্পা কর্মকার জানায়, ১০-১২ দিন আগে তার লিঙ্গ পরিবর্তন হলে স্থানীয় এক ভাবিকে ঘটনাটি জানায়। সেই ভাবি তার পরিবারকে জানালে তারা দেখার পর ধীরে ধীরে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে।

টুম্পার মা পুষ্প কর্মকার বলেন, আমার মেয়ের শারীরিক গঠন পরিবর্তন হলেও প্রথমে আমরা সেটা কিছু মনে করিনি। পরে তার লিঙ্গ পরিবর্তন দেখে আমরা চমকে উঠি।

স্থানীয়রা জানান, টুম্পা রাস্তার মাটি কাটার কাজ করে। তার অবয়বের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন তাকে প্রাথমিকভাবে দেখে লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়ে নিশ্চিত হন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটা অনেক সময়ের ব্যাপার। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল বারী মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সাধারণত ছেলে থেকে মেয়ে হতে চাওয়া রোগীদের চিকিৎসা করে থাকি। তবে ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া জটিল বিষয়। এটা কীভাবে হলো না দেখে বলা যাবে না। তবে মনে হচ্ছে পরিবার আগে থেকে বিষয়টি লুকিয়েছে।

শামীনূর রহমান/এসপি