ইউএনও সাইফুল ইসলাম

ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন দেখে বাধা দিয়েছিলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম। তাতেই চটে যান বালু ব্যবসায়ী মর্তুজা আলী মন্ডল (৫৫)। পরে রাস্তা আটকে ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করেন মর্তুজার সহযোগীরা। এতে আহত হন গাড়িচালকসহ তিনজন। 

শুক্রবার (০৭ মে) দুপুরে এ ঘটনায় ১১ জনের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়। পরে মর্তুজা আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।

তিনি বলেন, দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িচালক সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে মর্তুজা আলীসহ ১১ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। পরে মর্তুজাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে সদরের চরকালি বাড়ি গ্রামে নির্মাণাধীন একটি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে অফিসে ফিরছিলাম। এ সময় আমার কাছে খবর আসে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মতুর্জা আলী অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু তুলছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দিই। এ সময় মতুর্জার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী আমাকে নাজেহাল করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় ফেরাতে গিয়ে আমার গাড়ি চালকসহ তিনজন আহত হন।

উবায়দুল হক/এএম