চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শরিফ উদ্দিন ২৫ বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু তাকে পলাতক আসামি দেখিয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

মামালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চালান উথলী বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নুরুল হক। এ সময় ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয় ওই গ্রামের মৃত শরিফুল উদ্দিনের স্ত্রী বিলু বেগম (৪৫), ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৭) ও রমজান মণ্ডলের ছেলে নিজাম উদ্দিনকে (৫২)। 

এ ঘটনায় নায়েক সুবেদার নুরুল হক বাদী হয়ে পরদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে আটক তিনজনকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। এতে পলাতক আসামি দেখানো হয় একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে আকাশ আলী (২৬), বাতাস আলী (২২), আবদার আলীর ছেলে বিপুল (৩৫), আশকার আলীর ছেলে লিটন (৪০), মিজানুর রহমানের স্ত্রী সবুরা বেগম (৪০) ও গাইদঘাট গ্রামের মৃত রমজান মণ্ডলের ছেলে শরিফ উদ্দিনকে (৫০)। 

পরে আসামি পক্ষের লোকজন আদালত থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করে দেখতে পান ওই মামলায় ৯ নং পলাতক আসামি করা হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। যিনি ২৫ বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে বিষপানে মারা গেছেন। 

শনিবার বিকেলে মামলাটি তদন্ত করতে যান তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে গিয়ে জানতে পারি মামলার ৯ নং পলাতক আসামি শরিফ উদ্দিন অনেক আগেই মারা গেছেন।  

মৃত শরিফুলের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমি যখন খুব ছোট তখন আমার বাবা মারা গেছেন। তাহলে কিভাবে তাকে মামলার আসামি করা হলো। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী বর্তমানে দর্শনার নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নুরুল হক বলেন, আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলাটি করা হয়েছে। শরিফ উদ্দিন যে মারা গেছে আমি তা জানতাম না। 

এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ককে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

আফজালুল হক/এসপি