গাজী টায়ার কারখানার আগুন দেওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে গাজী টায়ার কারখানায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি গাজী টায়ার কারখানা পরিদর্শন করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, গণপূর্ত এবং বিদ্যুতের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজী টায়ারের ভবনে সালফার কেমিক্যাল ছিল। এটি থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। এখন নিয়ন্ত্রণে এলেও তল্লাশি করার মতো অবস্থা এখনও হয়নি।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, হঠাৎ করে এ ফ্যাক্টরির মালিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রচুর লোক এখানে এসে লুটপাট করেছেন। এরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখনও আমাদের ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ভবনটিতে যেতে পারছেন না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে আমরা দেখব প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতিটা কতটুকু হয়েছে।

নিখোঁজদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদৌ কোনো লোক সেখানে আটকা পড়েছে কিনা বা তারা মারা গেছে কিনা এই মুহূর্তে এ তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা দেখেছি কিছু লোক তাদের আত্মীয় পরিজন এখানে আটকা পড়েছে বলছেন। তবে এই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আগুন পুরো কন্ট্রোলে আসার পর আমরা সেটি দেখব। নিখোঁজদের কোনো সংখ্যাও এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। আমাদের কাছে যে মানুষগুলো এসেছে তারা অনেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কথা বলছেন। তারা অনেকে বলছে তাদের স্বজনদের সাথে এখান থেকে ফোনে কথা বলেছেন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই। যেহেতু এখানে কেমিক্যাল ছিল। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে তারপরই তদন্ত করে বলা সম্ভব হবে।

নিখোঁজদের তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) একটি কন্ট্রোল রুম করতে বলেছি। কিন্তু মানুষের অনেক চাপ। এটি একটু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আমরা তালিকাটি করবো।

এফআরএস