ঈদে শিকড়ের টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের সঙ্গে সাভারের সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহন। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভ্যান-রিকশাচালকরা আয়ের আশায় নেমেছেন সড়কে। এ ছাড়া সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটেও অনেক যাত্রী রওনা হওয়ায় সাভারের বিভিন্ন সড়কে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, রাতে গাড়ির চাপ কম থাকলেও সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যাত্রীর চাপও বেড়েছে তুলনামূলক। জিরানীবাজার এলাকায় স্থবির হয়ে আছে গাড়ির চাকা। অনেক যাত্রী পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়েছেন ২ ঘণ্টায়। 

বুধবার (১২ মে) সাভারের তিনটি রুট ঘুরে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানীবাজার থেকে চন্দ্রা উত্তর বঙ্গমুখী লেনে সাড়ে ৬ কিলোমিটার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সিঅ্যান্ডবি থেকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার ও বাইপাইল থেকে ইউনিক বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ।

জিরানীবাজার এলাকায় ঘণ্টাখানেক ট্রাকের ভেতর যানজটে আটকা আছেন মাসুদ। তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সিরাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য ট্রাকে উঠেছেন ৩শ টাকায়। কিন্তু জিরানীবাজার এলাকাতেই এক ঘণ্টা আটকা আছেন। তিনি বলেন, সকালে যানজট কম হবে ধারণা করে সকাল সকাল বের হলাম। কিন্তু যানজটেই পড়ে থাকলাম।

অপর যাত্রী কামরুজ্জামান বলেন, সড়কে গণপরিবহন নেই, দূরপাল্লার পরিবহন নেই কিন্তু যানজট কমেনি। এত যানজট হলে বাড়ি ফিরতে মনে হয় দুই দিন লেগে যাবে।

ট্রাকচালক খলিলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, একই জায়গায় বসে আছি প্রায় এক ঘণ্টা। গাড়ির চাকা ঘোরে না। তবে চন্দ্রা পার হতে পারলে অনেকটাই যানজটমুক্ত যাত্রা হবে।

সাভার হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম বলেন, আমাদের পুলিশ সড়কে কাজ করে চলেছেন। যেকোন পরিস্থিতিতে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন। আশা করি, যতটুকু যানজট আছে তা অল্প সময়ের মধ্যেই নিরসন হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি