স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে বগুড়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি। শুক্রবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যৌথ কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন শেখ হেলালের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

তাদের দাবিগুলোর হচ্ছে- স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহন এবং স্বাভাবিক পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। লকডাউনের কারণে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ঈদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের যানবাহন মেরামত, কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস ইত্যাদি দেওয়ার জন্য নামমাত্র সুদ ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে। সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোয় পরিবহন শ্রমিকদের জন্য আসন্ন ঈদের আগে ও পরে ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সব ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি চল‌তি বছ‌রের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে। পাশাপাশি দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে শ্রে‌ণিকৃত ঋণগুলো নিয়‌মিত করার সুযোগ দি‌তে হবে। লকডাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট ফি, আয় করসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদের সুযোগ দিতে হবে।

সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির নেতারা বলেন, সব কিছু চালু রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচাবাজার, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। কেবল গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে কেন? 

করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না। কথা ছিল লকডাউনে মানুষের চলাচল, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট সব বন্ধ থাকবে। কিন্তু সবই চলছে, শুধু গণপরিবহন ছাড়া। বর্তমানে বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে। এতে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা। 

অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য দেন আমিনুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান ডিউক,  তৌফিক হাসান ময়না, শফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, বাবর আলী মোল্লা,আব্দুল মান্নান মন্ডল, খলিলুর রহমান, জাহিদুর রহমান ও আব্দুল হামিদ মিটুল।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/আরএআর