শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা/ছবি: ঢাকা পোস্ট

এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু নানা কারণে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হয় না অনেকের। করোনা সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে বহু মানুষের ঈদ কাটছে হাসপাতালে। স্বজনদের সঙ্গে দেখা নেই কারও কারও।

শুক্রবার (১৪ মে) দুপুরে শেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অনেকের ঈদ কাটছে হাসপাতালের বিছানায়। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন অনেক রোগী।

ঈদের দিন মো. স্বপন (১৮) নামের এক রোগীর সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্ট প্রতিনিধির। স্বপনের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দাড়িকালী নগর গ্রামে।

স্বপন বলেন, শরীরটা সবসময় দুর্বল লাগে। তাই মা আর বড় ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। প্রতিবেদন দেখে চিকিৎসক কয়েকদিন ভর্তি থাকতে বলেছেন।

সুফিয়া বেগম (৭৫) বলেন, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থেকে হাসপাতালে এসেছি। অনেক অসুস্থ। এজন্য হাসপাতালে ভর্তি আছি।

সুফিয়া বেগমের নাতি মাহমুদ হাসান বলেন, হঠাৎ করে দাদির প্রেসার বেড়ে যায়। ১২ মে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার স্যালাইন চলছে।

আবুল কালামেরও (৪৫) ঈদ কাটছে হাসপাতালের বিছানায়। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পরানপুরের বাসিন্দা।

তার সঙ্গে থাকা নাজমুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবুল কালাম আমার শ্বশুর। তিনি হার্টের রোগী। ১০ মে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তার ইসিজি করানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগামী রোববার চিকিৎসক প্রতিবেদন দেখবেন।

ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা গ্রামের তিনানী থেকে হাসপাতালে এসেছেন রুবিনা আক্তার (২১)। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঈট কাটছে তার।

রুবিনা বলেন, ১২ মে পেটব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন মোটামুটি সুস্থ। তবে স্যালাইন চলছে। চিকিৎসকের অনুমতি পেলে দু’একদিনের মধ্যে বাসায় যেতে পারব।

শেরপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের ছুটিতে রয়েছেন অনেক চিকিৎসক ও নার্স। তবু আমরা প্রত্যেক ওয়ার্ডের রোগীর খোঁজখবর রাখছি। সবার চিকিৎসা চলছে। কোনো অসুবিধার অভিযোগ পাইনি।  

জাহিদুল খান সৌরভ/এএম