বিকেলে কয়েক হাজার দর্শনার্থী সৈকতে নেমে যান

প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটকের ঢল নামে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বন্ধ রয়েছে কুয়াকাটার সব পর্যটনকেন্দ্র। এরপরও শুক্রবার (১৪ মে) বিকেলে দর্শনার্থী-পর্যটকের ভিড়ে মুখর হয়ে যায়। 

ঈদের দিন বিকেলে কুয়াকাটায় আসা দর্শনার্থীদের বেশির ভাগই ছিল বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠিসহ পার্শ্ববর্তী জেলার। তবে মাইকিং করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ফেরত পাঠায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। একই সঙ্গে সৈকতের প্রতি প্রবেশপথে কড়া পাহারা বসানো হয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের পর থেকে দর্শনার্থীরা মোটরসাইকেলযোগে কুয়াকাটায় আসতে থাকেন। বিকেলে কয়েক হাজার দর্শনার্থী সৈকতে নেমে যান। সমুদ্রের পানিতে কেউ গোসল করেছেন, কেউ উল্লাসে মেতেছেন। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোটরসাইকেল ও জিপ গাড়ি নিয়ে এসে দর্শনার্থীদের বাড়ি ফিরতে মাইকিং করেন। সন্ধ্যার আগেই সবাইকে বাড়ি পাঠানো হয়।

দর্শনার্থী-পর্যটকের ভিড়ে মুখর কুয়াকাটা

মহিপুর থানার মাইটভাঙ্গা থেকে ঘুরতে আসা আল-আমিন বলেন, তিন বন্ধুসহ দুপুরে সৈকতে ঘুরতে এসেছি। ফটোগ্রাফার দিয়ে ৬০ কপি ছবি তুলেছি। ট্যুরিস্ট পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সৈকত থেকে উঠে যেতে বলেন। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি।

কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়ন থেকে ঘুরতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কুয়াকাটা সৈকতে এসেছি। কিছুক্ষণ থাকার পর ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং শুনে চলে যাচ্ছি।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের (কুটুম) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, ঈদের প্রথম দিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী সৈকতে নেমেছেন। তারা মোটরসাইকেলে এখানে এসেছেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি; আশপাশের জেলা-উপজেলার বাসিন্দা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ বদরুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাঁচ হাজারের বেশি দর্শনার্থী সৈকতে নেমেছেন। মাইকিং করে ৩০ মিনিটের মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সৈকতের প্রতিটি প্রবেশপথে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।

কাজী সাঈদ/এএম