ফেনীর যে প্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউই
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেনীর বেগম সামছুন্নাহার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেউই পাস করেনি। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লস্করহাট এলাকায় বেগম সামছুন্নাহার গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তী ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চ মাধ্যমিকের কার্যক্রম শুরু হয়।
ফলাফল বিপর্যয়ের ব্যাপারে কথা হয় বেগম সামছুন্নাহার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এমরানুল হকের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে এবার চারজন পরীক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে একজন অনিয়মিত। প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ এখানে সাধারণত দুর্বল শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এছাড়া দীর্ঘদিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে খারাপ করেছে। কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে ২১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ বলেন, এমন ফলাফলের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফেনীতে ৬১ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৩৯ জন। আলিমে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬০ জন।
প্রাপ্ত তথ্য দেখা যায়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জেলার ৪২টি কলেজ থেকে ১০ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬ হাজার ৭৪১ জন। শতভাগ পাস করেছে একটি প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া আলিমে ১ হাজার ৮৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৬৬৮ জন। শতভাগ পাস করেছে ৮টি প্রতিষ্ঠানে।
ফলাফলে জেলার শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ ফেনী সরকারি কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ৩১৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ কলেজ থেকে ১ হাজার ৪০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ২৩৭ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে জেলায় বরাবরের মতো শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে রয়েছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে ৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
তারেক চৌধুরী/এমএসএ