ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে হাতিয়ায় নৌ যোগাযোগ বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে, আর এতেই আতঙ্ক নেমেছে উপকূলজুড়ে। এদিকে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার ফলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে নোয়াখালীর নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় নোয়াখালীর অন্য কোথাও থেকে লোকজন হাতিয়ায় আসতে পারছেন না এবং হাতিয়া থেকে কেউ দ্বীপের নোয়াখালীতে যেতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের পুড়ি এবং সাগরদ্বীপের মাঝ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যবর্তী সময়ে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানপাটে মানুষ নেই। বেশির ভাগ মানুষ ঘরে বসে আছে। কাজে যেতে পারছে না। তিন নম্বর সংকেত দেওয়া হলেও মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই।
হাতিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় হাতিয়াতে সাইক্লোন সেল্টার ও উঁচু স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের জানমাল রক্ষায় দুপুর থেকেই সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব নৌযানকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে উপকূলীয় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলার সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নৌ চলাচল আবার শুরু হবে।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ