ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সংযোগস্থল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাধারণত জঙ্গিরা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করে। সেখানে বোমাটি কেন রাখা হয়েছিল সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

সোমবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৮টার দিকে বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। 

এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ বক্সের সামনে ব্যাগের ভেতর বোমাটি দেখতে পান ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসিফ হোসেন। পরে তিনি বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা সাইনবোর্ডের ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘেরাও করে রাখে। জনসাধারণকে ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে। 

সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পরীক্ষা করে তারা বস্তুটিকে বোমা বলে নিশ্চিত করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়। ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) এসি মাহমুদুজ্জামানের নেতৃত্বে বোমাটি ধ্বংস করা হয়। 

বোম ডিসপোজাল ইউনিটের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, বোমাটি মূলত শক্তিশালী ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)। এর ওজন পরিমাপ করা হয়নি। তবে এই ধরনের বিস্ফোরক মূলত জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হয়।

রাজু আহমেদ/আরএআর