কলমাকান্দা থানা পুলিশের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া ৪ শিক্ষার্থী

ঘুরতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পথ ভুলে গভীর রাতে দুর্গম হাওরের কাদায় আটকে পড়েন চার শিক্ষার্থী। পরে তারা কোনো উপায় না দেখে বুধবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা কামনা করেন।

এদিকে কল পাওয়ার পর গভীর রাতেই ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে দ্রুত ছুটে যান নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানা পুলিশের টহল দল। তারা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হারিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের খুঁজতে থাকেন।

অবশেষে রাত দেড়টার দিকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের হরিণধরা নয়াগাঁও এলাকা থেকে ওই চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজে অনার্স পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্ধারকারী কলমাকান্দা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল রহমান জানান, ওই চার শিক্ষার্থী গত বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর হাওরে ঘুরতে বের হয়েছিল। পরে তারা মোটরসাইকেলে করে হাওরাঞ্চল ঘুরে নেত্রকোনার দিকে আসার পথে হাওরেই রাত হয়ে যায়। এ সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে পথ ভুলে তারা হাওরের দুর্গম কাদায় আটকা পড়েন।

তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করলে কলমাকান্দা থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক তাদের উদ্ধার করতে আমাকে নির্দেশ দেন। তখন আমি একটি অটোরিকশা নিয়ে শিক্ষার্থীদের খুঁজতে বের হই এবং হরিণধরা এলাকার কাদা থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে তাদের আবাসিক একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

কলমাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পুলিশের টহল দলকে পাঠাই এবং স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকেও অবহিত করি। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে ওই শিক্ষার্থীরা থানায় এসে পুলিশকে ধন্যবাদ জানায় এবং তারা নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যায়।

উদ্ধার হওয়া ওই চার শিক্ষার্থীর মধ্যে আদিব নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কলমাকান্দা থানা পুলিশের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ ৯৯৯-এ ফোন করার পর তারা দ্রুত রেসপন্স করেছেন। অনেক কষ্ট করে খোঁজাখুঁজির পর আমাদের উদ্ধার করেছেন তারা।

এদিকে গভীর রাতে ৯৯৯-এ কল পেয়ে অসহায় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করায় কলমাকান্দা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সীও। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ নেত্রকোনা নামে ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসও দেন এসপি।

জিয়াউর রহমান/এমএসআর/জেএস