সড়কটি ডানদিকে বাঁক নিয়েছে। অথচ ওই মোড়ে নির্দেশনা লেখা রয়েছে ‘বামে মোড়’। প্রকৃতপক্ষে বামে কোনো সড়ক নেই। আছে একটি খাল। রাতের বেলায় যানবাহনের চালকরা ওই নির্দেশনা মেনে চললেই নির্ঘাত মহাবিপদ। সোজা গিয়ে পড়তে হবে ওই খালে।

এমনই এক ভুল নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার ঠাকুরাকোনা-ফকিরের বাজার পাকা সড়কে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নির্মিত এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে বর্তমানে চরম বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। তবে স্থানীয় অনেকেই এ ভুল নির্দেশনাটি সম্পর্কে অবগত থাকলেও বিষয়টি একেবারেই অজানা বহিরাগত যানবাহনের চালকদের কাছে।

এ অবস্থায় এলজিইডির ভুল নির্দেশনার কারণে ওই স্থানে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে গুরুতর ভুল নির্দেশনাটি সংশোধন করে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল খান ঢাকা পোস্টকে জানান, সড়কপথে পথচারী এবং বিভিন্ন রকম যানবাহন যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে, সে জন্যই মূলত এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ঠাকুরাকোনা-ফকিরের বাজার সড়কে দেওয়া ভুল নির্দেশনা নিরাপত্তার বদলে মানুষকে দুর্ঘটনার কবলে ফেলবে। এ রকম গুরুতর ভুল কখনোই কাম্য নয়।

বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে বারহাট্টা উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আল মুতাসিম বিল্লাহর সঙ্গে কথা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কটি আমাদের অধীনে নয়। এটি নেত্রকোনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর আওতাধীন। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন।

নেত্রকোনা সদর উপজেলা প্রকৌশলী লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কে নির্দেশনাগুলো স্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। কিন্তু ওই সড়কের ঠিকাদার যে শ্রমিকদের দিয়ে কাজটি করিয়েছেন, মূলত তারাই এ ভুলটি করেছে। ভুল নির্দেশনাটি সংশোধন করে দিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি এবং আমি নিজেও ওই সড়ক পরিদর্শন করে সব নির্দেশনা সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে কি না, তা দেখব।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ