সেই জীবনকে পুলিশে দিল গ্রামবাসী
আটক জীবন
বগুড়ার গাবতলীতে ধারের ২০০ টাকা ফেরত চাওয়ায় বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক জীবনকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ মে) দুপুর দেড়টার দিকে বালিয়াদীঘি গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠের মেশিন ঘরের মধ্য থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক জীবন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ছুরিকাঘাতে নিহত আব্দুস সালাম (১৯) একই এলাকার সাজু প্রামানিকের ছেলে। শুক্রবার (২১ মে) রাত ১০টার দিকে বালিয়াদীঘি গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে পুলিশ জীবনকে ধরতে অভিযান চালায়। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়রা জীবনকে গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠের মেশিন ঘরে লুকিয়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে জীবনকে আটক করে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সালাম ও জীবন বন্ধু। তারা দুজন অনেক দিন ধরে একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সালাম তার বন্ধু জীবনকে ২০০ টাকা ধার দেন বেশ কিছুদিন আগে। এদিকে জীবন ধার নেওয়া টাকা ফেরত দেন না। সালামের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন না। সালাম জীবনকে মোবাইল করলে জীবন কল কেটে দিয়ে মোবাইল ফোনও বন্ধ করে রাখেন।
শুক্রবার রাতে সালাম বাড়ির পাশে জীবনকে দেখতে পেয়ে পাওনা টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে জীবনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চান। তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় জীবন টাকা দিতে চান। টাকা দেওয়ার কথা বলে সালামকে ফাঁকা স্থানে ডেকে নিয়ে যান। ওই ফাঁকা স্থানে সালামের পেটে ছুরিকাঘাত করে জীবন পালিয়ে যান। সালামের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সালামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাবতলী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ঘাতক জীবনকে বালিয়াদীঘি গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠের মেশিন ঘর থেকে আটক করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় সালাম তার পরিবারের কাছে জীবন তাকে ছুরিকাঘাত করেছে এবং টাকা দেওয়ার কথা বলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিস্তারিত জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত সালামের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/আরএআর