প্রকল্পের সময় ও কাজ শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। উদ্বোধনও হয়ে গেছে ৪ মাস আগে। তারপরও এখনো কেউ বসবাস শুরু করেনি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে। জনমানবহীন ফাঁকা পড়ে আছে ঘরগুলো। 

সুবিধাভোগীরা বলছেন, আশ্রয়ণকেন্দ্রে পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করা সম্ভব নয়। বসবাসকারীদের সুবিধার কথা ভেবে ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া এবং পানি সরবরাহের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রসাশন।

সরেজমিনে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘার চর ব্যাপারী পাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় নির্মিত ৭৪টি ঘর জনমানবহীন ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

জানা যায়, ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর অধীনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৭২টি ঘর নির্মাণ পরবর্তী উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয়। ঘরগুলোর বেশির ভাগ লোকালয়ে নির্মিত হলেও ৭৪টি ডাংধরা ইউনিয়নের একটি চরের মাঝে নির্মাণ করা হয়। যেখানে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। যার কারণে উদ্বোধনের ৪ মাসেও তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীরা ঘরগুলোতে উঠেনি। ফলে কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘরগুলো পড়ে আছে জনমানবহীন হয়ে।

বাঘারচর ব্যাপারী পাড়া প্রকল্পের পাশে ছাউনি করে থাকা তালিকাভুক্ত সাজেদা জানান, আমি একটি ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। শুনেছি আমার নামও আছে। কিন্তু এখনো ঘর বুঝে পাইনি। ঘরগুলো যে জায়গায় করেছে সেখানে কোনো পানি ও  বিদ্যুৎ নেই। পানি ও বিদ্যুৎ ছাড়া বসবাস করা সম্ভব নয়। তাই হয়তো অন্যরাও ঘর পেয়েও উঠছে না।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হাসান বলেন, উদ্বোধনের সময় সিংহভাগ ঘরের কাজ সমাপ্ত হলেও প্রকল্পের কিছু ঘরের কাজ বাকী ছিল। সেগুলো শেষ হতে মাস দুয়েক সময় লেগেছে। ইতোমধ্যে সেগুলো হস্তান্তর করা হয়ে গেছে। যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে সেগুলোও সমাধানের চেষ্টা চলছে। আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই সুবিধাভোগীরা বসবাস করতে পারবেন।

আশ্রয়ণ-২ এর প্রকল্প সভাপতি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বাঘার চরের যেখানে ৭৪টি ঘর উঠেছে সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু লোক এখনো ঘরে উঠেনি। প্রকল্পে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ধরা নেই। তারপরও বসবাসকারীদের সুবিধার্থে আমরা স্থানীয় উদ্যোগে বিদ্যুৎ ও পানির অস্থায়ী ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সংযোগ ও সরবরাহের কাজ শুরু হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই সুবিধাভোগীরা সেখানে বসবাস শুরু করতে পারবেন।

এসপি