ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস'-এর প্রভাবে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে ইয়াসের প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ায় ওই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।

জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ার চর গ্রাম, দারভাঙ্গা গ্রাম, চর আন্ডা গ্রাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিটার বাজার; চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রাম; ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালি চর, আন্ডার চর।

মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আরামগঞ্জ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পানের ছিলা গ্রাম এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকার বাসিন্দা মুরাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে চরমোন্তাজে পানি প্রবেশ করে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরের যত মাছের ঘের রয়েছে, সব ঘের প্লাবিত হয়ে গেছে।

মির্জাগঞ্জের ৪ নম্বর মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আরামগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাল হোসেন বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

সদর উপজেলার লাউকাঠি গ্রাম এলাকার বাসিন্দা গৌতম পাল বলেন, নদী এখন উত্তাল। নদীতে পানির চাপ রয়েছে। যেকোনো সময় প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা রফিক মোল্লা বলেন, নদীতে পানি বেড়েছে। যেকোনো সময় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে গ্রামে পানি প্রবেশ করতে পারে।

রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশফাকুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলার কোথায় পানি প্রবেশের তথ্য পাইনি।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এনএ